১৯২০ সনে হাসন রাজা ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই সময় চিকিৎসার আশায় তিনি সিলেট সফরকালে অবস্থান নিয়েছিলেন শেখ ঘাটের সেই কুয়ারপারের বাড়ি, বোনের স্মৃতিবিজরিত আবাসস্থলে। এই সময় ছিল বাড়িটি তার তৃতীয় পুত্র একলিমুর রাজার তত্ত্বাবধানে। আর সেজন্যেই সৈয়দ মুর্তাজা আলী নির্দিষ্ট করে বলেছিলেন যে ঐ বাসা বাড়িটিতেই যখন হাসন রাজাকে দেখতে যান, তখন কবি অসুস্থ অবস্থায় শায়িত ছিলেন। সিলেটে এসে যে চিকিৎসা লাভ করলেন তা তার শরীরের জন্যে কিছুতেই কাজ দিল না। সেদিন যখন তাঁর বোন সঈফা বানুর সিলেটের বাসগৃহ থেকে বাহির হয়ে সুনামগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা দিন তখন তাঁর মন স্বাস্থ্য নানান কারনে ভেঙ্গে চৌচির অবস্থা। দিলারামের স্মৃতিচারনে শুনা যায় : রামপাশার পথে যেতে যেতে বলরিয়ার কন্ঠে সেদিন কবি নিজের সেই গানটি শুনার ইচ্ছা জাগায় তাকে গাইতে বলেন :
“আর কতিদন ভাঙ্গা বজরা ঠেলিব
বজরা যে পুরান হইছে,
রুককাঠ পচে গেছে,
হুতারগিরি নাহি জানি
কেমনে গড়িব ॥
বজরা যে পুরান মোর,
কেমনে থাকি তার আন্দর
বজরা দেখি লোকে হাসে, ছাড়িয়া যাইব ॥”
হাসন রাজা জীর্ণ দেহতরী পরিত্যাগের কথা শুনে শুনে যখন বজরাখানা নিয়ে কবি সুরমা ভাটি দিয়ে খাজাঞ্চি হয়ে ঢুকে পড়েন তাঁর প্রিয় নদী কাপনায় এবং বজরা যখন রামপাশার ঘাটে ভিরালে সারা গ্রামের মানুষ ছুটে আসে হাসন রাজাকে এক নজর দেখার জন্যে। বজরা থেকেই তাঁর অসংখ্য লোকজনের সাথে আলাপচারীতা হয়। বিদায়কালে উপস্থিত হাজারো মানুষের সাথে তার কন্যা ও ভ্রাতুষ্পুত্র জামাতা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সেদিন। বস্তুত এই ছিল তাঁর রামপাশা হতে শেষ বিদায়।
১৯২২ সালে যখন একটি মাইল্ড স্ট্রোক জনিত কারণে হাসন রাজা মুমুর্ষ অবস্থায় পড়ে রইলেন বিছানায় তখন তার স্ত্রী লবজান চৌধুরী ও পুত্রদ্বয় আফতাবুর রাজা ও গনিউর রাজা যথাসাধ্য সেবা করেন। ওই বছর ভাদ্র মাসে জেষ্ঠ্যপুত্র দেওয়ান গনিউর রাজার ‘খান বাহাদুর’ উপাধি ঘোষণার খবরটি এসে উপস্থিত হলো হাসন রাজার বাড়িতে। খবরটি পেয়ে দেওয়ান হাসন রাজা অসুস্থতা থেকে যেন সেরে উঠলেন। বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠার মত অবস্থাটি হলো এবং উচ্চস্বরে বলে উঠলেন ‘ও! গনিউর রাজা, ও! আফতাবুর রাজা, তোমরা সারা এলাকা ডেকে সিন্নি সালাতের ব্যবস্থা কর।’ তাঁর নিজের প্রথম জীবনে ইংরেজ কর্তৃক সম্মানজনক উপাধি প্রাপ্তিতে এতখানি খুশি হননি, শুনা যায় তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন সেদিন। কিন্তু এই বৃদ্ধ বয়সে জেষ্ঠ্য পুত্রের সামাজিক সংহতি ও সুবিচার প্রতিষ্টার প্রচেষ্টায় ‘খান বাহাদুর’ উপাধি হাসন রাজাকে যেন অতি উৎসাহিত করে তুললো।
ভক্ত, অনুরক্ত, বন্ধু, পোষ্য, প্রজা এবং প্রকৃতিকে যখন ছেড়ে গেলেন দেওয়ান হাসন রাজা তখন তার মৃত্যুর খবর চতুর্দিকে প্রচারিত হলে দূরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন ধর্মের অসংখ্য মানুষ তাকে শেষবারের মত দেখার জন্য ছুটে আসে। তার তিরোধানে আত্মীয় স্বজনসহ সকলেই শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েন। নিজের হাতে গড়া সেই লক্ষণশ্রীর তেঘরিয়া গ্রামটির কবরস্থানে তার চিরদিনের জন্যে শয়নের ব্যবস্থা করা হল। হাসন রাজার মৃত্যুর খবরটি যখন তার বাড়ি থেকে দেশ দেশান্তর ছড়িয়ে পড়লো তখন এই ভাবুক মনের কবিকে হারিয়ে সেকালের সুনামগঞ্জ এলাকা ছাড়াও সমগ্র সিলেটের লোকেরাই একটি গভীর শোকের ছায়া দ্বারা আবৃত হলেন।
হাসন রাজা মিউজিয়াম
সুনামগঞ্জে যে বাড়িতে হাসন রাজা জন্ম নিয়েছিলেন, সেটি আজ দেশ ও দেশের বাইরের হাজারো পর্যটক দর্শনার্থীদেও জন্যে যেনো একখানা তীর্থস্থানে পরিনত হয়েছে। গত ৮০ বছরের মত সময় ধরে এই বাড়ি অঘোষিতভাবে নিরবে লক্ষ লক্ষ পর্যটক ও দর্শককে আকৃষ্ট করে গিয়েছে। হাসন রাজা এখানে বড় হয়েছেন, এখানকার হাওর, বিল জুড়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন আর হেটে বেড়িয়েছেন জঙ্গল পথ ধরে। এই বাড়িতে তিনি কবিতা আর গানের কলি, সুর, তাল ও লয় সৃষ্টি করেছিলেন। সাধনা করেছেন মরমি চিন্তা-চেতনার বলয়ে।
হৃদয়কে কেড়ে নেয়ার মতো এটি একটি স্থান। এখানে প্রত্যেকই জীবনে একবার ঘুরে না আসলেই না হয়। এখানে আপনি সহজেই বুঝে নেবেন হাসন রাজা কোথায় কেমন করে ঘুরে বেড়িয়েছেন, আমগাছ, তাল গাছ আর নারকেল গাছের তলায় কিংবা পুকুরঘাটে তাঁর নিরব মুহুর্তগুলা। যখনই আপনি হাসন রাজা মিউজিয়ামে উপস্থিত হবেন সহজেই আপনার কাছে দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে আসবে- আরো নামিদামী বিখ্যাত দর্র্শনার্থী যাঁরা এখানে এসেছিলেন তাঁরা কিভাবে হাসন রাজাকে দেখেছিলেন।
কিভাবে পৌছে যাবেন হাসন রাজা বাড়িতে:
সিলেট বিভাগের অন্তর্ভূক্ত সুনামগঞ্জ জেলা শহরের উত্তর পশ্চিম প্রান্তে তেঘরিয়া গ্রামে অবস্থিত হাসন রাজার বাড়ি ও হাসন রাজা মিউজিয়াম। সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের উপর জেলা কোর্ট গেইটটি ডান পাশে রেখে একটু এগুলেই পেয়ে যাবেন আপনার বাঁ’পাশে তেঘরিয়া সড়ক। সুজাসুজি সেই রাস্তা ধরে গেলেই আপনি হাসন রাজার বাড়িতে পৌছে যাবেন। হাসন রাজা বাড়ি ও হাসন রাজা মিউজিয়াম দুটোই সাড়ে তিন একরের এক কম্পাউন্ডের উপর বিস্তৃত। পায়ে হাটা পথে আপনি অনায়াশেই দু’থেকে তিন ঘন্টা মত উপভোগ্য সময় অতিবাহিত করতে পারেন এখানে।
সর্বমোটে চার কক্ষবিশিষ্ট হাসন রাজা মিউজিয়াম। দেশজ শিল্পসংস্কৃতিকে মনে রেখেই সুদুরপ্রসারী ও দীর্ঘমেয়াদী হাসন রাজা মিউজিয়াম ভবন নির্মান প্রকল্প ইতোমধ্যে লন্ডন হাসন রাজা ট্রাষ্ট হাতে নিয়েছে। মিউজিয়াম পরিদর্শনকালে আপনি হাসন রাজার শতাধিক স্মৃতিময় জিনিস ও তথ্য খুজে পাবেন। এর মধ্যে মরমীদর্শনের ছাপ যে স্পষ্টতর তা সহজেই অনুমেয়।
একনজর দেখে নেবেন হাসন রাজার মূল ঘরটি। মাটির ছনের ঘরটি না থাকলেও তাঁর জৈষ্ট পুত্র দ্বারা পূন:নির্মিত বর্তমানে হাসন রাজার বাড়ীতে যে টিনের লম্বা চৌচালা ঘরটি, সেটিই অবিকল আগের ঘরের নমুনাতেই কালের সাক্ষি হয়ে দাড়িয়ে আছে। তবে সেটি ছিল সহজ সরল বাঁশের মাটির ছনের তৈরী চৌচালা ঘর ১৪ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত উচু। ঘরটি উত্তর দক্ষিনে ছিল ৯০ ফিট লম্বা। দেখে নিতে পারবেন হাসন রাজার দুই ছেলে কর্তৃক পরবর্তীকালের দুটি নির্মিত ঘর। বাবার বাড়ি ব্যাতিরেকে কনিষ্ট পুত্র দেওয়ান আফতাবুর রাজা অর্ধমাইল দুরে তাঁর শেষের স্ত্রীর জন্যে আলাদা করে বাসপযোগী একখানা বাগান বাড়ি তৈরী কওে দিন। অরন্যের মাঝে সেই বাড়ি দেখতে অপূর্ব। হাসন রাজার দ্বিতীয় ছেলে দেওয়ান হাসিনুর রাজা পৌর-এলাকার ভিতরেই মধ্যশহরে (হাসননগরে) আরেকটি পরিখাযুক্ত বাড়ি তৈরী করেন।
সুরমা নদীর তীরবর্তী হাসন রাজার বাড়ির ঠিক দক্ষিনদিকে কোয়ার্টার মাইল দুরে হাসন রাজার মাজার অবস্থিত এবং এটি আরেকটি উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় রয়েছে। মৃত্যুর আগে হাসন রাজা নিজেই এই আপন চির-আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। আগ্রহভরে অসংখ্য হাজারো জিয়ারতকারী এবং পর্যটক মাজার-দর্শনলাভে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন। আপনি সহজেই সেভেন/টেন সিটারযুক্ত গাড়ি অথবা প্রাইভেট কার কিংবা একটি রিকশা বা অটোরিকশা করে হাসন রাজা মিউজিয়াম/হাসন রাজা বাড়ি কিংবা হাসন রাজা মাজারে পৌছে যেতে পারেন। হাসন রাজা পরিষদ, ট্রাষ্ট ও হাসন পরিবার আপনাকে সাদরে সম্ভাসন জানায়।
হাসন রাজা মিউজিয়ামে ঢুকার জন্যে ১০টাকা দরে টিকেট কিনলে উর্দ্ধে তিন ঘন্টার জন্যে প্রবেশাধিকার। প্রতি পূর্ন বয়স্ক টিকেট প্রতি ১৪ বয়স পর্যন্ত ৪ জন করে শিশু প্রবেশ করতে পারে। পরিদর্শনের সময়: সকাল ৯:৩০ মিনিট হতে ৭:৩০ মিনিট পর্যন্ত।
সুনামগঞ্জ ছাড়াও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজিলা অধীন রামপাশা গ্রামে হাসন রাজার পৈত্রিকভূমিতে বেশ কিছু ঐতিহাসিক নিদর্শনের সাথে মুগল যোগের দেওয়াল স্থাপনা দেখতে পারার সুযোগ নিতে পারেন। সেখানে হাসন রাজার পিতা, দাদা এবং মুসলমান ধর্মান্তরিত প্রপিতামহের মাজারও জিয়ারত করার সুযোগ হতে পারে।
সুনামগঞ্জ শহরে স্টেডিয়ামের ঠিক পশ্চিম পাশে সরকারী উদ্যোগে নির্মিয়মান হাসন রাজা একাডেমী সুনামগঞ্জবাসীর বহুদিনের আকাঙ্কিত প্রতিষ্টান। এটি প্রতিষ্টিত হলে পর আশা করা যায় স্থানীয় সংস্কৃতির সমস্ত চাহিদাগুলো পুরন করতে সহায়ক হবে এবং সাথে হাসন রাজাসহ সকল খ্যাতনামা মরমী কবি কৃতিপুরূষদের উপর গবেষনা চালিয়ে যেতে উপযোগী একটি কেন্দ্র হয়ে উঠবে উত্তোরোত্তর।
উপসংহার
হাসন রাজার জীবন পর্যালোচনা করতে গিয়ে একটি জিনিস পরিষ্কার হয়ে উঠে যে, দেওয়ান হাসন রাজা স¤পর্কে সর্বশ্রেষ্ঠ তথ্যসূত্র তাঁরই জ্যেষ্ঠ পুত্র খান বাহাদুর দেওয়ান গণিউর রাজা। হাসন রাজা সম্পর্কে অনেকেই অনেক কিছু লিখবার চেষ্টা করেছেন। মরমী কবি দেওয়ান হাসন রাজার সাহিত্য দর্শন, কর্ম ও জীবন স¤পর্কে অদ্যাবধি অসংখ্য বই এবং প্রবন্ধ লেখা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত: লক্ষ্য করা যায় যে এই সমস্ত লেখায় হাসন রাজা স¤পর্কে নানাজন অনুমান ধরেই তাঁদের চিন্তা ও ভাবনাতে তাঁর সম্পর্কে সকলরকম তথ্য উপস্থাপিত করার প্রয়াস পেয়েছেন এবং তার কারনে অসংখ্য ভুলভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সিলেটে চাকরিরত পুলিশ অফিসার প্রীতিকুমার চন্দ্র আশির দশকে তাঁর লেখা ও সিলেট রেডিওতে প্রচারিত এক নাটকে হাসন রাজা সম্পর্কে বহু কল্পকাহিনী তুলে ধরেছিলেন। পরবর্তীকালে হাসন রাজাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। হাসন রাজার চরিত্রের ভরাডুবির আশংকা আচ করতে ব্রিটিশ গবেষক কেরলাইন এডামস নিজেই উদ্যোগী হয়েছিলেন হাসন রাজা চলচ্চিত্র তৈরি করতে। লন্ডনের গার্ডিয়ান কাগজে সে খবর ছাপা হয়েছিল-ÔCaroline researched and scripted a number of films. She had been cooperating with Rahul Amin and Contrast Films on documentaries about Calcutta and Bangladesh, as well as That Beautiful Smile, on Bengalis in East London, and a film on the 19th-century Bengali poet, Hasan Raja.
কেরলাইন এডামস দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর তার জীবনের শেষভাগে তিনি এই ফিল্ম তৈরির লক্ষ্যে ব্যক্তিগত অর্থায়ন দান করে গেছেন। সম্প্রতি কেরলাইন এডামসের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে। আবু আলী সাজ্জাদ হোসেইন উল্লেখ করেন, তার ধর্মীয় মনোভাব কোনো স্ত্রী, বিশেষ করে হিন্দু বিধবা ব্রাহ্মণ কন্যার নিকট থেকে উদয় হওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না। তার পারিবারিক পারিপার্শ্বিক অবস্থাই তার প্রমাণ বহন করছে। তার গানগুলি গাওয়ার জন্য অনেক মেয়েছেলেই থাকত। তবে এতে তার চারিত্রিক কোনো দুর্বলতার কথা কোনোকালেই শোনা যায়নি। তিনি সংসারী ছিলেন। তার পুত্রকন্যা ও বিষয় আশয় তা প্রমাণ করে। তিনি যদি শুধু নৌকায় নৌকায় থাকতেন তাহলে সৌখিন বাহার রচনার ভিত্তি কোথায়? হাসন রাজার মরমিবাদে কেন্দ্রিভূত হওয়ার পিছনে যে সব প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তার উত্তরণ কল্পের দায় থাকলো পরবর্তী প্রজন্মের কাছে।
আমরা জেনেছি হাসন রাজার প্রতি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের উৎসক্য অফুরন্ত ছিল। হাসন রাজার পুত্র একলিমুর রাজা জানিয়েছিলন আরেক নোবেল প্রাইজ প্রাপ্ত কবি রোমাঁরোলা ফরাসী ভাষায় ‘হাসন উসাস’ গ্রন্থখানা অনুবাদ করতে শুরু করেন। কিন্তু গ্রন্থখানার অনুবাদ শেষ হওয়ার পূর্বেই তাঁর প্রদীপ নিভে যায়। আবার অন্য আরেক বিদেশী অধ্যাপক আমেরিকান এডোয়ার্ড ইয়াজজিয়ান ২০০০ সালে এসে হাসন রাজার উপর ‘‘Hundred Songs of Hason Raja’ ’ বইখানা প্রকাশ করতে বাংলাদেশে একটানা দীর্ঘ সময় কাটাতে কার্পন্য করেননি।
পরিশেষে এ স্পষ্টতঃ স্বীকার করতে হয় বর্তমান গ্রন্থ ‘হাসন রাজা সহজ পাঠ’ গ্রন্থখানি মূলতঃ দেওয়ান গনিউর রাজার প্রদত্ত বহু তথ্য উপাথ্যের উপর নির্ভর করেই সাজানো হয়েছে এবং সাথে সাথে বেশ কিছু গ্রন্থ ও প্রবন্ধকেও অনুশরন করতে হয়েছে।